- দীপ, কেমন আছিস?
- আমি ভালো আছি। তোর গলাটা এরকম শোনাচ্ছে কেন? শরীর খারাপ? জ্বর লাগিয়েছিস?
- ফর দ্য এন্থ্ টাইম, জ্বর কেউ লাগায় না, বাধায়। আর না, আমার জ্বর হয় নি।
- তুই আই এস ডি করছিস কেন? স্কাইপ অন কর। আমি অলরেডি লগ্ড ইন। এত ইকো হচ্ছে কেন?
- ধুস অনেক রাত হয়ে গেছে। বাথরুমে এসে কথা বলছি। এখন কম্পিউটর খুললে মার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। হেবি ঝাড় দেবে। আর তা ছাড়া মা উঠে গেলে বলাও যাবে না।
- তাই তো। এখানেই তো সাতটা বাজে। পাঁচ ঘণ্টার গ্যাপ, আবার ডে লাইট সেভিং, মানে রাত একটা। তুই পরে ফোন কর। কালকে।
- বাজে বকা থামাবি? তোকে একটা কথা বলার ছিল।
- কালকে বলিস।
- বলছি না মার সামনে বলা যাবে না।
- আচ্ছা বল, কি বলবি?
- দীপ, রাতুল ফোন করেছিল। সুমন ওকে ফোন করতে বলেছে। সুমন নাকি খুব অনুতপ্ত। রাতুল আমায় আরও একবার ভেবে দেখতে বলল।
- তো?
- তো কি? দীপ, তুই কিছু বল?
- দেখ, সুমনকে কোন দিন’ই আমার পছন্দ নয়। বড্ড স্বার্থপর, ভেক বদল করতে ওস্তাদ। তোর সাথে যখন সুমনের সম্পর্ক ছিল, তখন আমার তাই মনে হত। এখনও ধারণা’টা পালটায় নি। পাল্টানোর কোনো কারণ দেখি নি।
- কিন্তু পাঁচ বছর তো আমরা ছিলাম একসাথে। মা কত বারণ করেছিল। বাছুরের প্রেম, এ নাকি টিকবে না। কিন্তু টিকিয়ে রেখেছিলাম তো ...
- জোর করে টিকিয়ে রেখেছিলি। আমি বারণ করেছিলাম।
- হ্যাঁ, কান পচিয়ে দিয়েছিলি। প্রথমে তো ভাবতাম নিজের জন্য লাইন ক্লিয়ার করছিস।
- বাজে বকবি না, আমার কোনোদিন'ই তোকে ... অবশ্য লাইন বলে লাইন। শালা, কোচিং এ যাকে দেখি সেই বলে মিষ্টুকে প্রোপোজ করলাম। শালা, প্রোপোজ বানান’টা অব্দি ঠিক করে বলতে পারে না। তারপর তুই যখন সুমনের সাথে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করলি, তখন কাকিমাকে কোনোদিন বলি নি। যতবার যেতাম তোদের বাড়ি, কাকিমা বসিয়ে সেই একি কথা। মিষ্টু কি ঠিক করছে দীপ, তুমি ওকে বারণ কর না। সবে হায়ার সেকেন্ডারি হল, এখনও তো সারাজীবন বাকি। আর আমি ডবল ডিমের অমলেট খেতে খেতে ঘন ঘন মাথা নাড়তাম।
- শয়তান, কোনোদিন অমলেট শেষ না করে তো ওঠো নি।
- ওঠা সম্ভব ছিল না, কাকিমা আমুল চিজ আর টমেটো দিয়ে বানাত। উফ্ফ্ ...
- সুমন কথা বলতে চাইছে। দীপ এখন আমি কি করবো?
- দেখ মিষ্টু, প্রেমের কোন কারণ হয় না। ভালো লাগে, তাই ভালো লাগে। কেন লাগে, অর্ধেক লোক জানে না। অর্ধেক কেন, কেউই জানে বলে আমার মনে হয় না। কারণ ... কারণ ... কোন কারণ হয় না। সবাই নিজের মনে মনে একটা কারণ বানিয়ে নেয়। ও পড়াশোনায় ভালো, অমুক’কে দেখতে ভালো, ও কেয়ারিং, ও ফুচকা খায়, সে আলুপোস্ত খায় না, তমুকে রাগাশ্রয়ী গায়, ও গীটার বাজায়। আসল কথা হচ্ছে তোমার ভালো লাগছে, তাই তুমি ভালোবাসছ, মানুষটাকে কাছে পেতে চাইছ। আমি ভুল বলেছি - প্রোপোজ বানান’টা ঠিক করে না জানলেও ভালো তো বাসাই যায়।
- দীপ তোর অসীম এবং অসহ্য জ্ঞান বন্ধ কর। এখন আমি কি করবো সেটা বলবি কি তুই।
- বলছি তো।
- বলছিস কোথায়? শুধু কথা এড়িয়ে যাচ্ছিস।
- আমি এখনও বলব সুমনের কথা ভুলে যা।
- গার্জিয়ানের মত কথা বলিস না।
- বলছি না । বন্ধুর মত বলছি। সুমনের সাথে তোর সময়টা ভালো কাটে নি। কিন্তু কিছু নিশ্চয়ি ভালো লাগার মুহূর্ত ছিল। সেগুলোকে চেরিশ কর। কিন্তু লেট্স মুভ অন।
- আমি ভালো আছি। তোর গলাটা এরকম শোনাচ্ছে কেন? শরীর খারাপ? জ্বর লাগিয়েছিস?
- ফর দ্য এন্থ্ টাইম, জ্বর কেউ লাগায় না, বাধায়। আর না, আমার জ্বর হয় নি।
- তুই আই এস ডি করছিস কেন? স্কাইপ অন কর। আমি অলরেডি লগ্ড ইন। এত ইকো হচ্ছে কেন?
- ধুস অনেক রাত হয়ে গেছে। বাথরুমে এসে কথা বলছি। এখন কম্পিউটর খুললে মার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। হেবি ঝাড় দেবে। আর তা ছাড়া মা উঠে গেলে বলাও যাবে না।
- তাই তো। এখানেই তো সাতটা বাজে। পাঁচ ঘণ্টার গ্যাপ, আবার ডে লাইট সেভিং, মানে রাত একটা। তুই পরে ফোন কর। কালকে।
- বাজে বকা থামাবি? তোকে একটা কথা বলার ছিল।
- কালকে বলিস।
- বলছি না মার সামনে বলা যাবে না।
- আচ্ছা বল, কি বলবি?
- দীপ, রাতুল ফোন করেছিল। সুমন ওকে ফোন করতে বলেছে। সুমন নাকি খুব অনুতপ্ত। রাতুল আমায় আরও একবার ভেবে দেখতে বলল।
- তো?
- তো কি? দীপ, তুই কিছু বল?
- দেখ, সুমনকে কোন দিন’ই আমার পছন্দ নয়। বড্ড স্বার্থপর, ভেক বদল করতে ওস্তাদ। তোর সাথে যখন সুমনের সম্পর্ক ছিল, তখন আমার তাই মনে হত। এখনও ধারণা’টা পালটায় নি। পাল্টানোর কোনো কারণ দেখি নি।
- কিন্তু পাঁচ বছর তো আমরা ছিলাম একসাথে। মা কত বারণ করেছিল। বাছুরের প্রেম, এ নাকি টিকবে না। কিন্তু টিকিয়ে রেখেছিলাম তো ...
- জোর করে টিকিয়ে রেখেছিলি। আমি বারণ করেছিলাম।
- হ্যাঁ, কান পচিয়ে দিয়েছিলি। প্রথমে তো ভাবতাম নিজের জন্য লাইন ক্লিয়ার করছিস।
- বাজে বকবি না, আমার কোনোদিন'ই তোকে ... অবশ্য লাইন বলে লাইন। শালা, কোচিং এ যাকে দেখি সেই বলে মিষ্টুকে প্রোপোজ করলাম। শালা, প্রোপোজ বানান’টা অব্দি ঠিক করে বলতে পারে না। তারপর তুই যখন সুমনের সাথে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করলি, তখন কাকিমাকে কোনোদিন বলি নি। যতবার যেতাম তোদের বাড়ি, কাকিমা বসিয়ে সেই একি কথা। মিষ্টু কি ঠিক করছে দীপ, তুমি ওকে বারণ কর না। সবে হায়ার সেকেন্ডারি হল, এখনও তো সারাজীবন বাকি। আর আমি ডবল ডিমের অমলেট খেতে খেতে ঘন ঘন মাথা নাড়তাম।
- শয়তান, কোনোদিন অমলেট শেষ না করে তো ওঠো নি।
- ওঠা সম্ভব ছিল না, কাকিমা আমুল চিজ আর টমেটো দিয়ে বানাত। উফ্ফ্ ...
- সুমন কথা বলতে চাইছে। দীপ এখন আমি কি করবো?
- দেখ মিষ্টু, প্রেমের কোন কারণ হয় না। ভালো লাগে, তাই ভালো লাগে। কেন লাগে, অর্ধেক লোক জানে না। অর্ধেক কেন, কেউই জানে বলে আমার মনে হয় না। কারণ ... কারণ ... কোন কারণ হয় না। সবাই নিজের মনে মনে একটা কারণ বানিয়ে নেয়। ও পড়াশোনায় ভালো, অমুক’কে দেখতে ভালো, ও কেয়ারিং, ও ফুচকা খায়, সে আলুপোস্ত খায় না, তমুকে রাগাশ্রয়ী গায়, ও গীটার বাজায়। আসল কথা হচ্ছে তোমার ভালো লাগছে, তাই তুমি ভালোবাসছ, মানুষটাকে কাছে পেতে চাইছ। আমি ভুল বলেছি - প্রোপোজ বানান’টা ঠিক করে না জানলেও ভালো তো বাসাই যায়।
- দীপ তোর অসীম এবং অসহ্য জ্ঞান বন্ধ কর। এখন আমি কি করবো সেটা বলবি কি তুই।
- বলছি তো।
- বলছিস কোথায়? শুধু কথা এড়িয়ে যাচ্ছিস।
- আমি এখনও বলব সুমনের কথা ভুলে যা।
- গার্জিয়ানের মত কথা বলিস না।
- বলছি না । বন্ধুর মত বলছি। সুমনের সাথে তোর সময়টা ভালো কাটে নি। কিন্তু কিছু নিশ্চয়ি ভালো লাগার মুহূর্ত ছিল। সেগুলোকে চেরিশ কর। কিন্তু লেট্স মুভ অন।
- পাঁচটা বছর ভুলে যেতে পারবো রে?
- ছেড়ে দে। তোর যদি মনে হয় সুমনকে এখনও তুই ভালবাসিস, তাহলে তো কাকু-কাকিমার সাথে কথা বলতে হবে ... তুই যদি বলিস আমি’ই বলতে পারি ...
- দীপ, কি বলছিস তুই? এগারো দিন বাদে আমার বিয়ে, বেনারসি কেনা হয়ে গেছে। নেমন্তন্নের কার্ড ছাপানো ... ছাপানো ছেড়ে দে ... বিলি করা হয়ে গেছে।
- কয়েকটা লোক’কে নেমন্তন্ন করেছিস বলে তোকে বিয়ে করে ফেলতে হবে, এইটে আমি বিশ্বাস করি না। যে ছেলেটাকে বিয়ে করবি বলে ঠিক করেছিস, তাকে কেমন লাগে?
- কেয়ারিং। দেখতে ভালো না, মোটা। সুমনের মত নয়।
- ওসব ছাড়। তুই কি ওর সাথে বাকি জীবনটা থাকতে পারবি?
- ছেলেটা সিন্সিয়ার। কথা যখন বলে মনে হয় ভেতর থেকে বলছে।
- ব্যস্ ... রাতুল-সুমন সব ভুলে যা। সেকেন্ড চান্স দেওয়াটা যেমন খুব দরকার, একটা সময়ের পরে সুযোগ গুটিয়ে নেওয়াটা তাঁর থেকেও বেশী প্রয়োজনীয়। এবার ফোন রাখ। আই এস ডি। ও হ্যাঁ, আমি ফ্রি কন্সাল্ট্যান্সি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। প্লাস তোর থেকে একটা চিকেন বিরিয়ানি অনেক দিন পাই। আমি বিদেশে আসার পরেই ছক করে টিউশনিটা শুরু করলি যাতে খাওয়াতে না হয়।
- খাওয়া ছাড়া আর কিছু বুঝিস তুই?
- না বুঝি না, কিন্তু আমার আজকের জ্ঞানদানের পর ন্যাচারেলি চিকেন বিরিয়ানিটা ডবল মাটনে আপগ্রেডেড হয়ে গেল। এবার রাখ।
- আচ্ছা রাখছি। একটা কথা বলতো দীপ আমরা এত ভালো বন্ধু কি করে রয়ে গেলাম? স্কুলের সবাই আস্তে আস্তে আলাদা হয়ে গেল ...
- হে হে, প্রিয় বন্ধু টাইপ?
- তুই কোনোদিন আমায় প্রেমের কথা শোনাতে আসিস নি তাই।
- ছেড়ে দে। তোর যদি মনে হয় সুমনকে এখনও তুই ভালবাসিস, তাহলে তো কাকু-কাকিমার সাথে কথা বলতে হবে ... তুই যদি বলিস আমি’ই বলতে পারি ...
- দীপ, কি বলছিস তুই? এগারো দিন বাদে আমার বিয়ে, বেনারসি কেনা হয়ে গেছে। নেমন্তন্নের কার্ড ছাপানো ... ছাপানো ছেড়ে দে ... বিলি করা হয়ে গেছে।
- কয়েকটা লোক’কে নেমন্তন্ন করেছিস বলে তোকে বিয়ে করে ফেলতে হবে, এইটে আমি বিশ্বাস করি না। যে ছেলেটাকে বিয়ে করবি বলে ঠিক করেছিস, তাকে কেমন লাগে?
- কেয়ারিং। দেখতে ভালো না, মোটা। সুমনের মত নয়।
- ওসব ছাড়। তুই কি ওর সাথে বাকি জীবনটা থাকতে পারবি?
- ছেলেটা সিন্সিয়ার। কথা যখন বলে মনে হয় ভেতর থেকে বলছে।
- ব্যস্ ... রাতুল-সুমন সব ভুলে যা। সেকেন্ড চান্স দেওয়াটা যেমন খুব দরকার, একটা সময়ের পরে সুযোগ গুটিয়ে নেওয়াটা তাঁর থেকেও বেশী প্রয়োজনীয়। এবার ফোন রাখ। আই এস ডি। ও হ্যাঁ, আমি ফ্রি কন্সাল্ট্যান্সি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। প্লাস তোর থেকে একটা চিকেন বিরিয়ানি অনেক দিন পাই। আমি বিদেশে আসার পরেই ছক করে টিউশনিটা শুরু করলি যাতে খাওয়াতে না হয়।
- খাওয়া ছাড়া আর কিছু বুঝিস তুই?
- না বুঝি না, কিন্তু আমার আজকের জ্ঞানদানের পর ন্যাচারেলি চিকেন বিরিয়ানিটা ডবল মাটনে আপগ্রেডেড হয়ে গেল। এবার রাখ।
- আচ্ছা রাখছি। একটা কথা বলতো দীপ আমরা এত ভালো বন্ধু কি করে রয়ে গেলাম? স্কুলের সবাই আস্তে আস্তে আলাদা হয়ে গেল ...
- হে হে, প্রিয় বন্ধু টাইপ?
- তুই কোনোদিন আমায় প্রেমের কথা শোনাতে আসিস নি তাই।