খুব এলোমেলো একটা ট্রাভেলগ হচ্ছে, যেটা প্রথমে মনে পড়ছে, সেটাই প্রথমে লিখে ফেলছি। কোন ক্রনোলজিক্যাল অর্ডার মানছি না। প্রথম পর্ব মোট চারজন পড়েছে, তারমধ্যে আমি একজন। আপনি যদি নতুন পাঠক হন, তাহলে জানাবেন কেমন লাগলো, পুরনো পাঠক হলে তো কথাই নেই।
--
আমেরিকা থুড়ি আম্রিকা হচ্ছে স্বপ্নের জায়গা - এটা আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে। আপনি অলরেডি সত্যিটা জেনে থাকলে তো ভালোই, নইলে এই বেলা জেনে নিন। মেনেও নিন, নইলে পস্তাবেন।
পস্তেছি তাই বলছি।
কিভাবে?
আমার এক জুনিয়র সহকর্মী (সহকর্মিনী কথাটা কি ঠিক?) যেদিন শুনলো আমায় ভিসার জন্য ইউ এস এম্ব্যাসী যেতে হবে, আরো অনেকের মত আমার পাসপোর্টে দশ বছরের ছাপ নেই, সেদিনকেই বেচারির ভ্রুজোড়া কুচকে গেসলো।
মেয়েটি ইউ এস এ নিয়ে একটু অবসেসড।
সেখানেই ভবিষ্যতে থাকবে, বুড়ো হবে, মারা যাবে - এইরকম সহজ সরল প্ল্যান। ইন ফ্যাক্ট, আমার পচা গলা মনের দৃঢ় বিশ্বাস - চেনা জানা আরো অনেকের মনের মধ্যেই এই একি স্বপ্ন দিন রাত চলেছে, এই মেয়েটির অন্তত: সাহস রয়েছে নিজের স্বপ্নটা খোলা গলায় সবাইকে জানানোর।
কিন্তু আমি সেই স্বপ্নভঙ্গ করলাম।
যখন কথাবার্তায় বেরোল, এইটেই আমার প্রথম ইউ এস ট্রিপ (হলেও হতে পারে, তখন ও ভিসা ইন্টারভিউ হয় নি), সেই কোলিগ আমার দিকে চরম অবিশ্বাসের দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।
একজন একত্রিশ পেরোনো ইঞ্জিনীয়র, যে নিজেকে মোটামুটি শিক্ষিত বলে দাবি করে, অফিসের জনশ্রুতি অনুযায়ী গত আট বছর ধরে বিদেশে চক্কর মেরেছে, পড়েছে, পড়িয়েছে, চাকরি করেছে, জ্ঞান দিয়েছে এবং প্রচুর জ্ঞান শুনেছে - সে ইউ এস কখন ও যায় নি?
হোয়াট দ্য হেল? ইজ ইট পসিবল ইভেন প্লজিবল টু এনিওয়ান?
সেই তীব্র হতাশা মাখা মুখ আমি ভুলবো না।
অবশ্য হতাশার তখনো ঢের বাকি ছিল। সকাল সাতটায় ইউ এস এম্ব্যাসি যেতে হবে। শোফার নেই আমার, তাই সেল্ফ ড্রাইভ। তবে একা নয়। টমটম ও নেই আমার, সেই কাজটা হাসিমুখে সোহিনী করে থাকে। আমার স্ত্রী।
দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌছে বার দুয়েক গোল গোল হয়ে একইরাস্তায় বার দুয়েক চক্কর মারার পর যখন কমলেশ্বরের আলভারেজের মতন নেক্সট ল্যাম্পপোস্টের গায়ে দিগনির্ণায়ক কিছু ফিট করা যায় কিনা ভাবছি, ঠিক তখন ই সোহিনী বল্লো গাড়ি পার্ক করে আগে কিছু খেয়ে নিই চলো।
আমাকে যারা বিন্দুমাত্র চেনেন, অথবা চেনেন না, তারাও সম্ভবত জানেন, আমি অত্যন্ত লোভী প্রকৃতির মানুষ। এ ধরণের প্রস্তাবে আমায় পেড়ে ফেলা খুব সহজ। সেই ছোটবেলাতেও শুনতাম ছেলেধরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, অচেনা কেউ কিছু খেতে দিলে খাবে না। শুধু খাওয়াতেই নিষেধাজ্ঞা। কেউ কোনোদিন বলে নি অচেনা কারুর সাথে কোথাও চলে যেও না, জানা ছিল ইন্সেন্টিভ অফার না করলে সে গুড়ে বালি।
কোথায় গাড়ি পার্ক করব বল তো?
এই তো ওই খানে, পুরির দোকানের পাশে।
এই তো ওই খানে, পুরির দোকানের পাশে।
এটা তো ক্যামাক স্ট্রীট - কলকাতার রাস্তাঘাটে পার্কিং নিয়ে আমার বিলক্ষণ ভয় আছে।
ত্তুর, রাখোতো। সকাল সাড়ে সাত'টা, কেউ নেই। পার্কিং শিওর আলাউড।
ত্তুর, রাখোতো। সকাল সাড়ে সাত'টা, কেউ নেই। পার্কিং শিওর আলাউড।
কিঞ্চিৎ আশ্বস্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে পুরি তরকারি সাটানো হল। তারপর দোকানী কে এম্বেসীর পথ জিজ্ঞেস করতে, সে জানালো,
সোজা নাক বরাবর হাটতে থাকুন। বাদিকে চোখ রাখবেন। যেখানে দেখবেন কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ বসে জটলা করছে, ওই বাড়িটায় ঢুকে পড়বেন।
এইরকম সহজ এফেক্টিভ গাইডেন্স একমাত্র চাঁদের পাহাড়ে কমলেশ্বর'ই দিতে পেরেছেন। কখন বুঝবেন 'বই'টা শেষ হচ্ছে? রজতাভ থুড়ি বুনিপ পটকে গেলে? উহু একি বাজারি সিনেমা পেয়েছেন নাকি? যখন দেখবেন দেবের মুখমন্ডল শ্মশ্রুশোভিত - তখনি বুঝে নিতে হবে এই হয়ে এসেছে, নেক্সট ক্লিন শেভেই সিনেমা খতম।
চাঁদের পাহাড় নিয়ে আমার প্রচুর বক্তব্য আছে, মানে কমলেশ্বরের চাঁদের পাহাড় নিয়ে। এই পোস্টে সেদিকে চলে যাওয়া ঠিক হবে না। শুধু এটুকু বলা যায়, মানিকবাবুর গণশত্রুর সেটে চাঁদের পাহাড় বানালে আর মগনলালকে বুনিপের পার্ট দিলেও এর থেকে ঢের বেশী জমত। অবশ্য মানিকবাবুর কাছে বাংলা সিনেমা ঠিক যতটা ঋণী, পারিবারিকভাবে তার থেকে একটু বেশীই উশুল করে নিচ্ছেন তাঁরা। প্রথমে ভয়ঙ্করী আমাদের কথা, ফলোড বাই একের পর এক ফেলুদার গল্পের হাড়িকাঠত্ব বরণ।
শেষ শুটিং হচ্ছে শুনলাম বাদশাহী আংটি।
জটায়ুর লেখাগুলো অপ্রকাশিত অবস্থায় আ বা প র কাছে সন্তোষ দত্ত রেখে যান নি? তাইলে তো অন্তত জটায়ুকে বেচে ফেলুদা বেঁচে যেত। একটা অবিবাহিত আপাদমস্তক ভালো লোকের এরকম অপমৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
ব্যাক টু কলকাতা ইউ এস এম্ব্যাসি। সকাল সাড়ে সাতটা।
ভালো ইলিশ মাছ বেশী পরিমাণে উঠলে, কিলো প্রতি দর যখন তিনশো টাকায় নেমে যায়, তখন মফস্বলের মাছের বাজারে কিরকম ভিড় হয় দেখেছেন নিশ্চয়ই।
সেম জিনিস।
শুধু এরকম রোয়াব দু কেজি ইলিশের মাছ ওলার ও থাকে না। দোকানের বাইরে ক্রেতারা সব্বাই চুপটি করে, ভদ্র হয়ে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছেন। সকলের হাতে বা বগলে ফাইল। কারুর মোটা ফাইল, কারোর সরু ফাইল, কারোর কারোর ভীষণ মোটা ফাইল। আমার সামনের ভদ্রলোক বিশাল কাগজের স্তুপ নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। আমার বদ্ধমূল বিশ্বাস ছিল ভিসা ইন্টারভিউ এর পরেই বোধহয় পুরোনো কাগজপত্র কিনে নেওয়ার বন্দোবস্ত থাকে, আর সেটা নিশ্চয় ডলারে। নইলে সাতসকালে কেউ স্বেচ্ছায় অত ভারী কাগজের বান্ডিল নিয়ে ঠায় দাড়িয়ে থাকতে পারে না।
সেই ভুল ভাংলো যখন মৃদু হাওয়ায় দুটো পাতা বান্ডিল থেকে খসে পড়লো। ভদ্রলোকের গত বছরের বাড়ি ভাড়ার রসিদ।
আমি নিশ্চিত আর একটু হাওয়া দিলেই কে সি পালের ছাতার বিলটাও বেরোত।
তাপ্পর মিনিট কুড়ি লাইন দিয়ে অবশেষে যখন ফুটপাত থেকে প্রথম গেট'টা টপকালাম, সামনের স্ক্যানারে সেই ভদ্রলোকের কে সি পালের কালো ছাতা ধরা পড়েছে। কালোটা সমস্যা নয়, ইউ এস এম্ব্যাসির ওরকম হাজারো কালো পতাকা দেখে অভ্যেস আছে। সমস্যা হচ্ছে ছাতার মেটালিক অংশ। স্ক্যানার কে সি পাল'কে মেনে নিতে রাজি।নয়, প্রবল বেগে ট্যাঁ ট্যাঁ করে আওয়াজ করছে। ভদ্রলোক মিনমিন করে সিকিউরিটিকে বোঝাচ্ছেন। সিকিউরিটি বেচারার বোঝার কিছু নেই, অসময়ের পুজোর বৃষ্টি কি শুধু কবিরাই টের পান? কিন্তু তার হাত পা বাধা। বড় সাহেব বারণ করেছেন।
স্ক্যানার পেরিয়ে আমার চোখ খুলে গেল। প্রথম বার ইউ এম্ব্যাসির কার্যকলাপ নিয়ে ধ্যান ধারণার সামান্য উন্নতি হল। ব্যাটারা মাল্টিপল বাফার লাগিয়ে ওয়েটিং টাইম এবং বিরক্তি দুটোই কমিয়েছে।
ফুটপাতে ভিসা প্রত্যাশীর সংখ্যা আদপে কিছুই নয়, ক্যাম্পাসের ভিতরে একদম মেলা দিলো কা আতা হ্যায়। শুধু আমীর খানের জায়গায় সুবেশী মার্কিন অ্যাক্সেন্টের তরুণী। ইংরিজীতেই বলছেন, তবে কিনা পাত্র ও পাত্রী বিশেষে বাংলা, মায় রাষ্ট্রভাষা অব্দি বলতে হচ্ছে। বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত। প্রবল জ্ঞানপিপাসু। কেন একজন আলিয়েন ইউ এস এ যেতে চাইছেন, তা নিয়েই ওনার থীসিস।
এই আলিয়েন ব্যাপারটা নিয়ে এমনিতেই বেশ জ্বলে ছিল আমার। ইউ এস এরর রেসিডেন্ট না হলেই আপনি এলিয়েন। ফর্মে অন্তত তাই লেখা ছিল। ভীষণ যন্ত্রণার ঘটনা।
যাজ্ঞে, সে বাধা টপকানো গেলো। কাগজপত্র ও মুখের ভাষা ঠিক থাকলে ব্যাপারটা অত জটিল নয়। এই ঘরে অপেক্ষা করতে করতে ভিসাপ্রার্থী যাতে বোর না হন সেই কারণে প্রচুর বিজ্ঞাপন দেওয়া আছে। সব কটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপন। রিসর্ট, র্যাঞ্চ, ঘর-বাড়ি, চাকরি - কিচ্ছুটি নয়, শুদ্ধু গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী। একদম কাস্টমার সেন্ট্রিক ফোকাসড আড। শেষ মুহূর্তে আপনি যদি ক ইউনিভার্সিটি থেকে খ ইউনিভার্সিটিতে লাফ মারতে চান। খ'তে মাঠ'টা বড়ো, পাশে নদী আছে - আর একটা নোবেল আছে।
বলা তো যায় না মানুষের মন বলে কথা।
এরপর আপনি এসে দাঁড়ালেন দিনের তৃতীয় সারিতে। এখানে একটা মক ইন্টারভিউ গোছের হচ্ছে। কাউন্টারে ডেকে নামধাম, ডেসিগনেশন জিজ্ঞেস করে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। নমুনা এরকম।
আপনার নাম কি?
মগনলাল মেঘরাজ।
মগনলাল মেঘরাজ।
আপনার পদবী কি?
আজ্ঞে, মেঘরাজ।
আজ্ঞে, মেঘরাজ।
কিন্তু আপনার পাসপোর্ট তো তা বলছে না।
মগনলালের চোখে একরাশ অবিশ্বাস।
মগনলালের চোখে একরাশ অবিশ্বাস।
আপনার পাসপোর্টে লেখা আছে আপনার নাম মগনলাল মেঘরাজ, আর আপনার কোনো পদবী নেই।
মগনলাল চুপ।
মগনলাল চুপ।
অথচ আপনার ব্যান্ক আকাউন্ট অন্য কথা বলছে। সেখাবে আপনার পদবী মেঘরাজ। কোনটা সত্যি মগনলাল?
কানের পাশ দিয়ে গুনে গুনে ছটা গুলি চলে গেছে, মগনলাল আর বিশেষ কিছু বলার অবস্থায় নেই।
কানের পাশ দিয়ে গুনে গুনে ছটা গুলি চলে গেছে, মগনলাল আর বিশেষ কিছু বলার অবস্থায় নেই।
আরেক কাউন্টারে আরেক ফ্লেভারের নামসংকীর্তন হচ্ছে।
আপনার নাম?
জয়া বচ্চন।
জয়া বচ্চন।
নাম?
জয়া।
জয়া।
পদবী?
বচ্চন।
বচ্চন।
আপনার ভোটার আই ডি কার্ড তো সেকথা বলছে না জয়া। সেই ডকুমেন্ট অনুযায়ী আপনার নাম জয়া ভাদুড়ী।
না মানে, ওটা আমার বিয়ের আগের নাম।
আপনার কি উচিত ছিল না বিয়ের পরে সমস্ত ডকুমেন্টে আপনার নাম'টা ঠিক করিয়ে নেওয়া?
এবার পাশ থেকে অমিতাভ টুকি দিলেন।
হেঁই ... সরি ... এজ্ঞে ম্যাডাম, প্যান কার্ডে দেখুন জয়া বচ্চন করা আছে, ভোটার কার্ডে চেঞ্জ করা প্রচন্ড হ্যাপা। ইটস এ লেংদি প্রসেস।
মি: বচ্চন, আপনার স্ত্রী যদি নিজের নামটাও সমস্ত ডকুমেন্টে ঠিক করে দেখাতে না পারেন তাহলে উনি বিদেশে গিয়ে থাকবেন কি করে? আপনাকে ছাড়া যদি উনি চলাফেরা করতে না পারেন তাহলে তো ওনার দেশের বাইরে যাওয়া কাম্য নয়।
ইতিমধ্যে জয়ার কোলে অভিষেক কাঁদতে শুরু করেছে। অদ্ভুত সময়জ্ঞান। নাইন্টিজের সচিন-সৌরভের মত।
না বাবা না, তুমি লক্ষী হয়ে থাকো, কার্তিক হয়ো না।
নাম ধাম সমস্ত ম্যাচ করে যাওয়ায় তৃতীয় লাইনেও বিশেষ অসুবিধে হল না। এইবার আসল পরীক্ষা। চতুর্থ তথা অন্তিম সারি।
এখানে রিপ্লাই বাইনারি। হয় ভিসা হবে, নইলে নয়। মাধ্যমিক থেকে ইংজিনিয়ারিং - যেভাবে সবাই আগের পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন শুনে নেয় - সে ভাবে শুনতে থাকলাম। কোথায় যাচ্ছেন? কেন যাচ্ছেন? কবে ফিরবেন? আদৌ ফিরবেন কি? ইত্যাদি...
সমস্ত উত্তর তৈরী। কিন্তু ওই যে পরীক্ষক আস্তিনের তলা থেকে বরাবর ক্ষেপনাস্ত্র বার করেন, তার অন্যথা হল না।
আপনার পাসপোর্টের পাতাগুলো এরকম ফিকে লাল কেন?
বছর পাঁচেক আগে মিলান এয়ারপোর্টে হঠাত বৃষ্টি নেমে বুক পকেট সুদ্ধ ভিজিয়ে দিয়েছিল, তাই। অনেক চেষ্টা করেও কলকাতা ইমিগ্রেশনের লাল স্ট্যাম্প থেকে কালি লিক করা আটকাতে পারি নি, তাই।
বছর পাঁচেক আগে মিলান এয়ারপোর্টে হঠাত বৃষ্টি নেমে বুক পকেট সুদ্ধ ভিজিয়ে দিয়েছিল, তাই। অনেক চেষ্টা করেও কলকাতা ইমিগ্রেশনের লাল স্ট্যাম্প থেকে কালি লিক করা আটকাতে পারি নি, তাই।
হুম, আপনি কদ্দিন ইউ এস এ থাকবেন?
আজ্ঞে, আটদিন মোটে।
আজ্ঞে, আটদিন মোটে।
এর আগে, ইউরোপে দেখছি আপনি ছয় বছর ছিলেন, চলে এলেন কেন?
বলতে ইচ্ছে করছিল, বেশ করেছি।
বলতে ইচ্ছে করছিল, বেশ করেছি।
বললাম, হোমল্যান্ড কলিং।
ইয়োর ভিসা ইজ আপ্প্রুভড, মি: দ্যাত্তা চ্যাউধুরি। আপনি এখন আসতে পারেন।
--
--
দেশটার নাম আমেরিকা…
ReplyDeleteপূজা চড়হাও 'মা মেরি'কা।
বৃক্ষশাখায় ঝুলছে ডলার।
দরকার নেই কাউকে বলার।
খুব দুর্গম স্বর্গ সিঁড়ির
খোঁজ পেয়েছিস জাতভিখিরি
পৌঁছে গেলেই মিলবে যা' চাই
তাই তো এমন ঝাড়াই বাছাই।
ব্যাঙ্কে ব্যালান্স কেমন, বাবার?
রোজ বাড়িতে পাস কি খাবার?
ঠাকুর্দা কি ডাকাত ছিলেন?
ঝোলায় কী তোর? নাইন ইলেভেন?
অ্যাত্ত জোরে নাক ডাকে তোর
কোন বন্দুক নাকের ভেতর?
পাসনি ভিসা? বিফল ক বার?
হাল শুনেছিস অন্য সবার?
নাগাল খুঁজতে খুঁজতে 'ভিসা'র
পশ্চাতে পাইলস নইলে ফিশার।
এ'সব শুনেও ঘাবড়ে যাইনে।
দাঁড়িয়ে আছি 'ভিসার' লাইনে।ঁ
শান্তি চাই যে, গালি তো চাই নে/ মাঝে মাঝ্র তব দেখা, চিরদিন কেন পাইনে?
Deleteঅসাধারন।
ReplyDeleteকোনটা? নিশ্চয়ই জয়ের লেখাটা!
Delete:-)
হে হে.. তুমিও বোঝো/ আমিও বুঝি..
Deleteবাপ কা বেটা সিপাই কা ঘোড়া কুছ নেহি তো -------. বড়ে মিঞা তো বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা ভি শুভান আল্লা। দুটোই অনবদ্য।
DeleteDarun hoyechey.. Joy tor ager lekha tao ami porechilam...counter ta ek bariye nish
ReplyDeleteবাবা, তুমি আর আমি - তিনজন হল। আরো একজন পড়েছে। সেটা কে এখনো জানা যায় নি :(
Deleteআরো একজন হল এই অধম :)
Deletevalo hoeche
ReplyDeletechotobelar bondhuder comment pele anondo ta ektu beshi I hoy.
DeleteDutoi porlaam.. onobodyo.
ReplyDeletedada, chakri na chhere joto tuku 'silpo' kora jay tar chesta korchhi ..
Delete"Bolte ichhe korchilo "Besh Korechi" ..." part is awesome ...the catchline 3:)
ReplyDeletehehe .. catch line to amar kachhe maganlal meghraj .. but again, tui amar theke half-generation chhoto, tai perspective to alada hobei ..
Deleteআহা, দিব্যি সরেস হচ্ছে। চালিয়ে যাও। :)
ReplyDeleteare arijit je .. onek din bade apnar comment o utsaho peye valo laglo ..
Deletedarun! :D :)
ReplyDeleteNag, nemontonner chithi ta patha joldi ..
DeleteDarun likhecho....:-)
ReplyDeletevaiti, tomar pore valo legechhe sune amar aro valo laglo. kintu tomar nam jante parle aro valo lagto..
Delete